Posts Tagged ‘ টেলিগ্রাফ ’

স্বাধীন কাতালোনিয়ার দাবি বার্সেলোনারও

Barcelona_2419869b‘ক্লাবের চেয়েও বেশি কিছু’ এটাই ইউরোপের অন্যতম শীর্ষ ক্লাব বার্সেলোনার প্রধান শ্লোগান। সম্প্রতি সেটা বেশ ভালোমতোই প্রমাণ করেছে এই স্প্যানিশ জায়ান্ট। স্পেনে স্বাধীন কাতালোনিয়া রাষ্ট্রের দাবিতে চলমান আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেছে তারা। সেই সঙ্গে কাতালান ভাষাভাষী মানুষের উপরে অনায্যভাবে কেন্দ্রিয় ভাষা (স্প্যানিশ) চাপিয়ে দেওয়ারও কড়া সমালোচনা করেছে বার্সেলোনা কর্তৃপক্ষ।

এক সপ্তাহ আগে স্পেনের শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন যে, দেশের সব স্কুলে যেন স্প্যানিশ ভাষা শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়,  সেই প্রস্তাব তৈরি করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে কাতালোনিয়ার মানুষেরা। এই সিদ্ধান্তের ফলে কাতালান ভাষার উপর অনায্যভাবে রাষ্ট্রীয় আগ্রাসন চালানো হচ্ছে বলে মনে করেন তাঁরা। বার্সেলোনা ফুটবল ক্লাবও স্পেনের কেন্দ্রীয় সরকারের এই ভাষিক আধিপত্যের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে। এক বিবৃতিতে ক্লাবটি বলেছে, ‘আমাদের স্বাধীন দেশের (কাতালোনিয়া) পরিচয় তৈরির একটা গুরুত্বপূর্ণ উপাদান আমাদের ভাষা। ঠিক যেমনটা আমাদের ক্লাব। বিগত ৩৪ বছর ধরে আমাদের স্বাধীন ভাষাচর্চা বাধার মুখে পড়েছে। আমরা খুবই দৃঢ়ভাবে কাতালান ভাষা চর্চা ও শিক্ষার অধিকার রক্ষা করতে চাই।’

বর্তমানে কাতালোনিয়া রাজ্যের স্কুলগুলোতে কাতালান ভাষাতেই পাঠ দান করা হয়। আলাদাভাবে স্প্যানিশ শেখার ব্যবস্থা সেখানে আছে। কিন্তু সেটা প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য বাধ্যতামূলক না। ইউরোপের ম্যাপে স্বাধীন একটি দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন-বিক্ষোভ করে আসছে কাতালোনিয়া। স্পেনের আর্থিক সংকটের কারণে সাম্প্রতিক সময়ে আরও জোরদার হয়েছে কাতালোনিয়ার স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবি। এরই মধ্যে নতুন এই ভাষানীতি প্রনয়নের ঘোষণা দিয়েছেন স্পেনের কেন্দ্রীয় সরকারের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়ামন্ত্রী জোসে ইগনাসিও ওয়ের্ট। প্রতিটি স্কুলে স্প্যানিশ শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার এই প্রস্তাবের তীব্র নিন্দা জানিয়ে মন্ত্রণালয় থেকে বেরিয়ে এসেছেন কাতালোনিয়া রাজ্যের শিক্ষা উপদেষ্টা ইরেনে রিগাউ। টুইটারের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় মন্ত্রণালয়ের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন বার্সেলোনার অধিনায়ক কার্লোস পুয়োল।

বার্সেলোনার এই রাজনৈতিক পদক্ষেপটি এসেছে স্প্যানিশ ইতিহাসের এক বিশেষ মুহূর্তে। ইউরো অঞ্চলের আর্থিক সংকটের সর্বশেষ শিকারে পরিণত হয়েছে স্পেন। যার ফলে এখন আন্তর্জাতিক সাহায্য চাওয়ার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে ইউরোপের অন্যতম বড় অর্থনীতির এই দেশটি। নানা ধরণের কৃচ্ছনীতি আরোপের ফলে স্পেনের কেন্দ্রিয় সরকারও হয়ে পড়েছে ব্যপকভাবে অজনপ্রিয়। আর এই সংকটময় পরিস্থিতি আরও উস্কে দিচ্ছে স্বাধীন কাতালোনিয়া রাষ্ট্রের দাবি। কাতালানরা মনে করে, এই অঞ্চলটি স্পেন থেকে বেরিয়ে এসে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবেই বেশি অগ্রগতি করতে পারবে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে।

নভেম্বরের ২৫ তারিখে অনুষ্ঠিত হয় কাতালোনিয়া রাজ্যের সংসদীয় নির্বাচন। যেখানে ফলাফল নির্বাচনী প্রধান ইস্যু ছিল স্বাধীন কাতালোনিয়ার দাবিতে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে কিনা। আর বলাই বাহুল্য, নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে গণভোট-পন্থী প্রার্থীরা। কিন্তু এই গণভোট কিভাবে আয়োজন করা যাবে, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কারণ স্পেনের সংবিধান অনুযায়ী দেশটির কোন রাজ্য আলাদাভাবে একটি গণভোট আয়োজন করতে পারে না। তবে বার্সেলোনা ফুটবল ক্লাবের এই সাম্প্রতিক বিবৃতি চলমান কাতালোনিয়া রাষ্ট্রের দাবি যে আরও জোরদার করবে, তা সহজেই অনুমান করা যায়।

বার্সেলোনা ক্লাবের সঙ্গে স্পেনের কেন্দ্রিয় সরকারের বিরোধটা অবশ্য নতুন কোন ব্যাপার না। ১৯৩৬ থেকে ১৯৩৯ সাল পর্যন্ত স্প্যানিশ গৃহযুদ্ধের সময়ও দেখা গিয়েছিল এই দ্বন্দ্ব। সেসময় স্পেনের কুখ্যাত একনায়ক ফ্রাঙ্কোর অন্যায় আধিপত্যের শিকার হয়েছিল বার্সেলোনা। ১৯৩৬ সালে ক্লাবটির সভাপতি জোসেফ সুনিয়োলকে গ্রেপ্তার করে হত্যা করেছিল ফ্রাঙ্কোর সেনাবাহিনী। ফ্রাঙ্কোর শাসনামলে কাতালান ভাষার ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এমনকি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল কাতালান ভাষায় লেখা বহু বই।— টেলিগ্রাফ

দ্য ভিঞ্চির ‘কী করিতে হইবে’ তালিকা!

বিখ্যাত নোটবুকটি থেকে অনেক তাক লাগানো তথ্যই জানা গেছে লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির জীবন সম্পর্কে। ১৬ শতকের এই চিত্রশিল্পী, ভাস্কর, বিজ্ঞানীর চিন্তাধারা যে তাঁর নিজ সময়ের চেয়েও কতখানি এগিয়ে গিয়েছিলেন, তা অনুধাবন করা যায় ভিঞ্চির এই নোটবুকটি থেকে। রেঁনেসা যুগের অন্যতম সৃজনশীল এই মানুষটি যে অনেক ভুলোমনা মানুষের মতো ‘কী করিতে হইবে’ তালিকাও বানাতেন, সেটাও সম্প্রতি জানা গেল তাঁর এই নোটবুকের একটি পাতা থেকে। ১৫১০ সালের দিকে লেখা এই পাতায় অঙ্কন উপাদান চক-চারকোল-পেপার কেনার কথা নিজেকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন ভিঞ্চি। সেই সাথে মানুষের মাথার খুলি সংগ্রহ করা, কুমিরের চোয়ালের বর্ণনা দেওয়ার মতো কাজগুলোও টুকে রেখেছেন পশ্চিমা শিল্পজগতের প্রতিভাবান এই শিল্পী। বিস্তারিত পড়ুন

ফেসবুকে থাকবে পুরো জীবনের কাহিনি!

আরও সহজে পরিচালনা করা যাবে—এমন প্রতিশ্রুতি নিয়েই নতুন একটা চেহারা হাজির করেছিল সামাজিক নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইট ফেসবুক। ইন্টারনেট জায়ান্ট গুগলের নতুন নেটওয়ার্কিং সাইট গুগল প্লাসের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়াতেই ফেসবুকের এই নতুন চেহারা দাঁড় করানো হয়েছে বলে অনুমান করেছিলেন অনেকে। তবে ফেসবুকের এই নতুন চেহারা, আরও বড় একটা পরিকল্পনার অংশ মাত্র। নতুন চেহারার ফেসবুকে এখন প্রতিটি ব্যবহারকারীর পূর্ণাঙ্গ জীবনকাহিনি লিপিবদ্ধ করার ব্যবস্থা করেছে সাইটটি। গতকাল সান ফ্রান্সিসকোতে ফেসবুকের বার্ষিক কনফারেনসে ‘টাইমলাইন’ নামের এই নতুন ফিচারটি যোগ করার ঘোষণা দিয়েছেন সাইটটির প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ।

ব্যবহারকারীর পূর্ণাঙ্গ দিনলিপি ফেসবুকে সংরক্ষণ করার উদ্দেশ্যেই এই ‘টাইমলাইন’ ফিচারটি গড়ে তোলা হয়েছে। এখানে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা তাঁদের সারা জীবনের প্রতিটি ঘটনাই দিন-মাস-বছর ধরে লিপিবদ্ধ করতে পারবেন। শুধু বর্তমান সময় থেকেই নয়, ব্যবহারকারীরা যুক্ত করতে পারবেন তাঁদের শৈশব, কৈশোরের দিনগুলোর কথাও। বলা ভালো, জন্মের পরমুহূর্ত থেকেই। তাঁরা অন্তর্ভুক্ত করতে পারবেন নির্দিষ্ট বছরে বা সময়ে তাঁদের জীবনের স্মরণীয় মুহূর্তের ছবি, ভিডিও। পরবর্তী সময়ে কোনো তথ্য মুছে ফেলা বা বাড়তি তথ্য সংযোজনের সুযোগও থাকবে এই ফেসবুক টাইমলাইনে। জুকারবার্গের ভাষায়, ‘একটা ওয়েবপেজের মাধ্যমেই আপনি বলতে পারবেন আপনার পুরো জীবনের কাহিনি।’— টেলিগ্রাফ