Posts Tagged ‘ হোমারের ইলিয়াড ’

পূর্ব বনাম পশ্চিম: যে পুরানকথাগুলো বিভ্রান্ত করে

প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের পুরানকথা নিয়ে চোখ খুলে দেওয়া বক্তৃতা দিয়েছেন দেবদূত পট্টনায়ক। আর তিনি দেখিয়েছেন যে, কিভাবে ঈশ্বর, মৃত্যু, স্বর্গ ইত্যাদি নিয়ে পুরোপুরি ভিন্ন এই দুইটা বিশ্বাসব্যবস্থা আমাদেরকে প্রভাবিত করে এবং প্রায়ই একে অপরের প্রতি ভ্রান্ত ধারণা তৈরি করে।

পুরানের কার্যাবলী অনুধাবন করতে গেলে, যেটা একজন প্রধান বিশ্বাস অফিসারের করার কথা, আপনাকে শুনতে হবে গণেশ ও কার্তিকের একটা গল্প। গণেশ হচ্ছেন সেই হাতির মাথাওয়ালা দেবতা, যিনি গল্পকারদের অনুলেখক। আর তাঁর ভাই কার্তিক, দেবতাদের সেনাপতি। এই দুই ভাই একদিন একটা দৌড় প্রতিযোগিতা করার সিদ্ধান্ত নিলেন। তাঁরা গোটা পৃথিবী ঘুরবেন, তিনবার। কার্তিক তাঁর বাহন ময়ুরে চড়ে বসলেন আর মহাদেশ, পাহাড়-সমুদ্র প্রদক্ষিন করতে বেরোলেন। তিনি ঘুরলেন একবার, দুইবার, তিনবার। কিন্তু তাঁর ভাই গণেশ, শুধু তাঁর পিতামাতাকে প্রদক্ষিন করলেন। একবার, দুইবার, তিনবার। আর বললেন, ‘আমি জিতেছি।’ ‘কিভাবে?’, জিজ্ঞাসা করলেন কার্তিক। তখন গণেশ বললেন, ‘তুমি ঘুরেছ ‘এই পৃথিবী’ আর আমি ঘুরেছি ‘আমার পৃথিবী’। আর কী?’

আপনি যদি এই ‘এই পৃথিবী’ আর ‘আমার পৃথিবী’র পার্থক্য বুঝতে পারেন, তাহলে আপনি পার্থক্য বুঝতে পারবেন বাস্তবতা আর পুরানকথার। ‘এই দুনিয়াটা’ বস্তুনিষ্ঠ, যৌক্তিক, সার্বজনীন, সত্যনির্ভর, বিজ্ঞানসম্মত। আর ‘আমার দুনিয়াটা’ মনঃকল্পিত, আবেগগত, ব্যক্তিগত। এটা অনুধাবন, ভাবনা, অনুভব, স্বপ্ন। এটাই সেই বিশ্বাস ব্যবস্থা, যা আমরা বহন করি। এটাই সেই পৌরানিক এলাকা, যেখানে আমরা বাস করি।

‘এই পৃথিবীটা’ আমাদের বলে, কিভাবে এই দুনিয়াটা কাজ করে, কিভাবে সূর্য ওঠে, কিভাবে আমরা জন্মগ্রহণ করি। ‘আমার পৃথিবী’ আমাদের বলে যে, কেন সূয্য ওঠে, কেন আমরা জন্ম নিই। প্রত্যেকটা সংস্কৃতিই নিজেদের বোঝার চেষ্টা করে: ‘কেন আমাদের অস্তিত্ব আছে?’ আর প্রতিটা সংস্কৃতিই নিজেদের জীবনের একটা স্বতন্ত্র বোঝাপড়া নিয়ে হাজির হয়। নিজেদের গড়ে তোলা পুরানকথাগুলো নিয়ে হাজির হয়। বিস্তারিত পড়ুন