কলিম খানের প্রতি শ্রদ্ধা ও তাঁর বইয়ের হদিশ
মানুষের মৃত্যু দুই ধাপে হয়। প্রথমটা শরীরের। প্রানটা বেরিয়ে যায়। দ্বিতীয়বারের মৃত্যুটা হয় স্মৃতিতে… যিনি যত পুণ্য সঞ্চয় করেন, তিনি জনমানসে ততদিন বেচে থাকেন। যার পুণ্য কম, তিনি দ্রুতই মিলিয়ে যান বিস্মৃতির অতলে…
গত ১১ জুন পরলোকে চলে যাওয়া কলিম খান আমাদের ভাবিয়েছেন। খুব কম লেখক-চিন্তকই এভাবে ভাবাতে পারেন।
ভদ্রলোকের শারিরিক মৃত্যু হয়েছে… কিন্তু তাকে আমরা বাচিয়ে রাখতে পারি। আমাদের চিন্তা-কর্ম দিয়ে। তার রচনা পাঠ করার মাধ্যমে। সেটাই বোধহয় উচিত হবে। এতো দ্রুত তাকে মরতে দেওয়াটা ঠিক হবে না… আপনার পুন্য এতো কম না কলিম খান…
এই কথাগুলোও তো আপনারই ভাবনাপ্রসুত…
অনলাইনে কলিম খানের গ্রন্থগুলো পাওয়া যাবে এখানে
কলিম খানের মৃত্যু সংবাদ জানিয়ে Subhasis Chirakalyan Patra ফেসবুকে লিখেছিলেন:
গভীর দুঃখের সঙ্গে জানাই যে, ক্রিয়াভিত্তিক-বর্ণভিত্তিক শব্দার্থবিধির অন্যতম রূপকার, বঙ্গীয় শব্দার্থকোষের অন্যতম প্রণেতা, ভাষাবিদ ও দার্শনিক কলিম খান আর আমাদের মধ্যে নাই। কিছুদিন যাবৎ তিনি দুরারোগ্য রক্তের ক্যান্সারে (AML) ভুগছিলেন।
আজ (১১.০৬.২০১৮) রাত ৮টা ৫৫ মিনিটে কলকাতার বাঁশদ্রোণী এলাকায় নিজের বাসভবনে তিনি প্রয়াত হয়েছেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও সুকুমার রায় ছাড়া আর যে বাঙালী লেখক আমার মনকে গভীরভাবে আলোড়িত ও আপ্লুত করতে সক্ষম হয়েছিলেন তিনি কলিম খান। তাঁর কাছ থেকেই আমি বুঝতে শিখেছি শব্দার্থের দর্শন, প্রাচীন ভারতের ইতিহাস ও ভারতীয় দর্শনকে। তিনি যে কাজের সূচনা করে গেলেন সেই কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব আমাদের সকলের। তাঁর মৃত্যুতে আমি হারালাম আমার এক পথপ্রদর্শক, সুহৃদ এবং অত্যন্ত শ্রদ্ধেয় ও প্রিয় মানুষকে। তাঁকে আমার অন্তরের প্রণতি জানাই।
No trackbacks yet.