মহীনের ঘোড়াগুলি
আমরা যাইনি মরে আজো– তবু কেবলই দৃশ্যের জন্ম হয়ঃ
মহীনের ঘোড়াগুলো ঘাস খায় কার্তিকের জ্যোৎস্নার প্রান্তরে,
প্রস্তরযুগের সব ঘোড়া যেন–এখনও ঘাসের লোভে চরে
পৃথিবীর কিমাকার ডাইনামোর ’পরে।’
জীবনানন্দ দাশের ‘ঘোড়া’ কবিতাটির অন্য একটা বিশেষত্ব আছে। এটি লেখার দু-তিন দশক পরের এক কার্তিকের জ্যোৎস্নার প্রান্তর থেকে কলকাতায় নেমে এসেছিলো সংবিগ্ন একদল ঘোড়া। সেই তখন থেকেই ‘মহীনের ঘোড়াগুলি’র নালহীন খুরের আওয়াজ, হ্রেষাধ্বনি, টগবগানো শুনছে বাংলা গানের গলিতে পায়চারী করা অসংখ্য পথচারী।
বাংলা ব্যান্ড-মিউজিকের ইতিহাসে অন্যতম জনপ্রিয়, শ্রোতাপ্রিয়, প্রবাদপ্রতিম ব্যান্ড ‘মহীনের ঘোড়াগুলি’। তারা সত্তরের দশকের মাঝামাঝি সময়ে এসেছিলো বাংলা গানে এক নতুন ধারার সঙ্গীত নিয়ে। ষাটের দশকে বব ডিলানের হাত ধরে যে ‘আরবান ফোক’ ধারার প্রচলন ঘটেছিলো, মহীনের ঘোড়াগুলিকে বাংলা গানে সেই জনরারই অনুসারী বলা হয়ে থাকে৷ সেই সময়টাতে সারা পৃথিবীতে বব ডিলান, বিটলস, জিম মরিসনরা গতানুগতিক সংগীতবোধের বাইরে গিয়ে রাজত্ব করছিলেন কিন্তু বাংলা গান তার গতানুগতিকতাকে ছাড়তে পারছিলো না। তখনকার সময়ে শ্রোতারা রোমান্টিক সুরেলা ঘরানার…
View original post 1,500 more words
No trackbacks yet.