দ্য ভিঞ্চির ‘কী করিতে হইবে’ তালিকা!
বিখ্যাত নোটবুকটি থেকে অনেক তাক লাগানো তথ্যই জানা গেছে লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির জীবন সম্পর্কে। ১৬ শতকের এই চিত্রশিল্পী, ভাস্কর, বিজ্ঞানীর চিন্তাধারা যে তাঁর নিজ সময়ের চেয়েও কতখানি এগিয়ে গিয়েছিলেন, তা অনুধাবন করা যায় ভিঞ্চির এই নোটবুকটি থেকে। রেঁনেসা যুগের অন্যতম সৃজনশীল এই মানুষটি যে অনেক ভুলোমনা মানুষের মতো ‘কী করিতে হইবে’ তালিকাও বানাতেন, সেটাও সম্প্রতি জানা গেল তাঁর এই নোটবুকের একটি পাতা থেকে। ১৫১০ সালের দিকে লেখা এই পাতায় অঙ্কন উপাদান চক-চারকোল-পেপার কেনার কথা নিজেকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন ভিঞ্চি। সেই সাথে মানুষের মাথার খুলি সংগ্রহ করা, কুমিরের চোয়ালের বর্ণনা দেওয়ার মতো কাজগুলোও টুকে রেখেছেন পশ্চিমা শিল্পজগতের প্রতিভাবান এই শিল্পী।
কোন এক জায়গায় যাওয়ার আগে মানুষ যে ধরণের পরিকল্পনা করে, লিওনার্দোও তাঁর এই তালিকায় সেরকম একটা প্রস্তুতি নিয়েছিলেন বলে মনে করছেন বাকিংহ্যাম প্যালেসের কুইনস গ্যালারির কিউরেটর মার্টিন ক্লেটন। তিনি বলেছেন, ‘শার্ট, গামছা ইত্যাদির পাশাপাশি লিওনার্দো তাঁর অঙ্গব্যবচ্ছেদের যন্ত্রপাতি নেওয়ার কথাও এই তালিকায় উল্লেখ করেছেন। আমরা আগেই জানি যে, তিনি পাভিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিত্সাশাস্ত্রের স্কুলে মৃতদেহ ব্যবচ্ছেদ করতেন। এটা তাঁর আবাসস্থল মিলানের দক্ষিনে। আর তাই ধারণা করা হচ্ছে হয়তো পাভিয়াতে যাওয়ার আগে আগে তিনি এই তালিকাটি বানিয়েছিলেন। এই পাতাটা সত্যিই আকর্ষণীয়। নোটবুকের পাতাগুলোয় লিওনার্দো প্রায়শই লিখেছেন অঙ্গব্যবচ্ছেদ সম্পর্কে তাঁর পর্যালোচনা সম্পর্কে। কিন্তু এই পাতাটা থেকে সত্যিই তাঁর ব্যক্তিক জীবন সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যায়।’
আগামী ৪ মে থেকে বাকিংহ্যাম প্যালেসের কুইনস গ্যালারিতে এই ‘কী করিতে হইবে’ তালিকাটি সহ লিওনার্দোর নোটবুকের ৮০টিরও বেশি পাতা প্রদর্শন করা হবে।— টেলিগ্রাফ
বিখ্যাত নোটবুকটি কবে উদ্ধার হয়েছে?