এলিস কী নিঃসঙ্গই থেকে যাবে?

এলিস কারো সঙ্গেই মেশে না, কারো সঙ্গেই বেড়াতে যায় না। এলিস সেসব কিছুই করে না, যা তার বয়সী অন্য সবাই করে। সে নিজেকে কোন মতেই মেলাতে পারে না, অন্য কারো সঙ্গে। যখন সে এটা করতে চায়, তখন মনে হয় যেন, অন্য কেউই তার কথাটা শুনতে পাচ্ছে না। না, এলিস নাম্নী কোন ছেলে বা মেয়ের কথা না, বলা হচ্ছে প্যাসিফিক মহাসমুদ্রের সেই নিঃসঙ্গ তিমিটির কথা। যে কি না বছরের পর বছর ধরে এই বিশাল মহাসমুদ্রে সঙ্গীর আকাঙ্ক্ষায় গান গেয়ে বেড়াচ্ছে ভুল সুরে… ভুল কম্পাঙ্কে…

২০০৪ সালে নিঃসঙ্গ এলিসের এই করুন কাহিনীটি সবার সামনে নিয়ে আসে নিউ ইয়র্ক টাইমস। তবে তার খোঁজ পাওয়া যায় আরও আগে। ১৯৯২ সালে এলিসের এই নিঃসঙ্গতার কারণ খুঁজে বের করতে সহায়তা করে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওশানিক এন্ড অ্যাটমোসফোরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (নোয়া)। সাধারণত যে যন্ত্রটি তারা শত্রু সাবমেরিনের অবস্থান জানতে ব্যবহার করে, সেই বিশেষ ধরণের হাইড্রোফোন দিয়ে তারা প্রথম এলিসের গানের কম্পাঙ্ক নির্নয় করে। দেখা যায়, তার গানের কম্পাঙ্ক ৫২ হার্জ। যা তার সমগোত্রীয় অন্যান্য তিমিদের (১৫-২৫ হার্জ) তুলনায় অনেক বেশি। ফলে তার মিলনাকাঙ্ক্ষা অন্যদের কাছে পৌঁছাতেই পারে না।

আরও একভাবে নিজের দুর্ভাগ্যটা আরও কয়েকগুন বাড়িয়ে দিয়েছে এলিস নিজেই। কোন এক অদ্ভুত কারণে সে অন্যান্য তিমিদের সঙ্গে চেনা পথে দূরভ্রমণে যায় না। এতে করে তার নিঃসঙ্গতা বেড়েই যায়, কমে না। সিয়াটলের ন্যাশনাল মেরিন ম্যাম্যাল ল্যাবরেটরির গবেষক ড. কেট স্ট্যানফোর্ড ব্যাপারটা বর্ণনা করেছেন এভাবে, ‘নিঃসঙ্গ তিমিটা বলতেই থাকে, ‘হেই! এই যে, আমি এখানে!’ কিন্তু কেউই তাকে ফোন করে না!’

ক্রিপ্টোজোলোজিস্ট অল লুইস সন্দেহ করেছেন যে, হয়ত এলিস দুইটা ভিন্ন প্রজাতির তিমির একটা সংকর। অথবা হতে পারে যে, সে কোন অজানা প্রজাতির শেষ সদস্য। তাহলে কী এলিস নিঃসঙ্গই থেকে যাবে?— টাইমস

    • kallol
    • মে 15th, 2011

    Very nice post…Seems Alis is like me……

  1. বাহ ভালো হয়েছে লেখাটা 🙂

    • moni sardar
    • মে 22nd, 2011

    Good Information!

  1. No trackbacks yet.

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান